সৌম্য এখনো দলে কেন? জবাব দিলেন তামিম


ঢাকা টেস্টের টাইগার স্কোয়াডে সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান ও মমিনুল হককে নিয়ে বেশ তর্ক বিতর্ক হয়েছে। শেষ পর্যন্ত মমিনুলকে একাদশের বাইরে রেখে দল সাজিয়েছে ম্যানেজমেন্ট।

কিন্তু টপ অর্ডারে সৌম্য ও সাব্বিরের ব্যর্থতা টেস্ট দলে এই দুইজনের জায়গা প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে। তবে দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা বেশ ভালো জানেন এমন অবস্থা থেকে কিভাবে বের হয়ে আসতে হয়।

তামিম ইকবাল এদের মধ্যে অন্যতম। এক দশকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ক্রিকেট দেবতার প্রায় সব রূপ দেখা শেষ তার। এখন খুব ভালো করেই জানেন কিভাবে বাজে সময় থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হয়।

কালের কণ্ঠকে সম্প্রতি ভারতের হয়ে তিনশো ওয়ানডে খেলা বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির উদাহরন টেনে তামিম বলেছেন, ‘মহেন্দ্র সিং ধোনির একটা কথা পড়ছিলাম। কোথায় যেন ও বলেছে, ‘ক্রিকেট খুবই নিষ্ঠুর খেলা।

যখন তুমি রান পাচ্ছ না, তখন ব্যাটিংয়ে গিয়ে দেখবে প্রতিপক্ষের সেরা বোলার বল করতে এসেছে আর শট খেলার পর হয়তো দেখবে প্রতিপক্ষের দূর্বলতম ফিল্ডারই এক হাতে ক্যাচ ধরে ফেলেছে। খারাপ সময় এমনই সর্বগ্রাসী হয়। ’

নিজের বাজে সময়ের সাথে ওপেনিং সঙ্গী সৌম্য সরকারের কথা টেনে তামিম বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যখন পুরো পৃথিবী, তখন চেষ্টা করেছি এক্সপেনসিভ মিসটেকগুলো এড়িয়ে যেতে। সেদিন সৌম্যর ওই শটটা যদি ছয় হতো, সবাই তালি মারতাম, বলতাম বাঘের বাচ্চা।

কিন্তু আউট হওয়াতেই ওর বিরুদ্ধে নানা কথা হচ্ছে। এটাই হলো চড়া দামের ভুল। আমার মনে হয় ওই সময় সৌম্য ওটা না করে পরদিন সকালে যদি একটা ভালো বলেও আউট হতো, তাহলে এত কথা হতো না। এই ভুলগুলোই ওদের করতে নিষেধ করি। ’

ঢাকা টেস্টে ‘সলিড’ তামিমের সাথে সৌম্যর দায়িত্বটা ছিল দ্রুত কিছু রান তোলা। উইকেটের চরিত্র অনুযায়ী সৌম্যদের কাছ থেকে বড় ইনিংস নয়, বরং ঝড়ো ইনিংস চেয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। বিষয়টি ব্যাখ্যায় তামিম জানান,

‘আরেকটি কথা বলি, সৌম্যর জন্য টিম ম্যানেজমেন্টের প্ল্যানই ছিল কিছু দ্রুত পাওয়া। ওর একটা ৩০-৪০ রানের ইনিংস এ উইকেটে চার ঘণ্টা ব্যাটিং করার মতো সমান গুরুত্বপূর্ণ হতো। ’

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ

সমগ্র বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক

এক্সক্লুসিভ