পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া ১২৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তামিম ইকবাল। স্কোর বোর্ডে ১৩ রান যোগ মোহাম্মদ ইরফানের শিকার হন তিনি। ৩৩ রান বাদে সাব্বির রহমানকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। আফ্রিদির বল এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। স্কোর বোর্ডে রান তখন ৪৬।
মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে মুশফিক ও সৌম্য বিদায় নিলে কিছুটা চাপে পড়ে। তবে ফেরার আগে মুশফিক ও সৌম্য’র ৪৩ রানের পার্টনারশিপ বাংলাদেশকে জয়ের পথ দেখায়। ৪৮ রান করে মোহাম্মদ আমিরের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সৌম্য সরকার এবং মুশফিক ফেরেন শোয়েব মালিকের বলে এলবিডাব্লিউয়ের শিকার হয়ে।
এরপর সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে আবারও খেলায় ফেরান মোহাম্মদ আমির। তবে শেষ দিকে মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহর সময় উপযোগী ইনিংসের ওপর ভর করে ৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই, পাকিস্তানের ইনিংসে ব্যাটিং লাইনআপকে চেপে ধরে টাইগার দুই পেসার তাসকিন আহমেদ এবং আল-আমিন হোসেন। তাসকিনের প্রথম ওভার থেকে আসে মাত্র ১ রান। দ্বিতীয় ওভারের বল করতে এসে প্রথম বলেই খুররম মঞ্জুরকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন আল আমিন। উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন খুররম।
এরপর একে একে বিদায় নেন সারজিল, হাফিজ এবং উমর। স্কোর বোর্ডে রান তখন ২৮। এরপরই শোয়েব-সরফরাজ জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। সরফরাজের সঙ্গে শোয়েব ৭৮ রানের জুটি গড়ে ফেরেন। শোয়েবের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। তিনি আরাফাত সানির শিকার।
মালিকের বিদায়ে শহীদ আফ্রিদি ক্রিজে এলেও থিতু হওয়ার আগেই তাকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান আল আমিন হোসেন। পাকিস্তানের রানের চাকা আবার থমকে যায়। তবে শেষ দিকে সরফরাজ-আনোয়ার আলীর ১৫ বলে ঝড়ো ২৫ রানের জুটিতে ১২৯ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন আল আমিন হোসেন। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন সৌম্য সরকার।