সিংহ নয়, বাঘই জঙ্গলের রাজা



বাঘের সামনে দাঁড়াতে পারলো না সিংহের দল। ১৪৭ রানের জবাবে বাংলাদেশি বোলারদের দাপটে ১২৪ রানে থেমে গেলো শ্রীলঙ্কা। মাশরাফি বিন মুর্তজার দল জিতে গেলো ২৩ রানের ব্যবধানে।

২০ রানের মাথায় সাকিব আল হাসানের বলে সৌম্য সরকারের এক দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফিরেছিলেন লঙ্কান ওপেনার তিলকারত্নে দিলশান। সেখান থেকে ৫৬ রানের এক জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচে ফেরান দিনেশ চান্দিমাল ও শিহান জয়সুরিয়া।

শ্রীলঙ্কার বিপর্যয়ের সূচনা হয় এরপর থেকেই। আর তাতে শেষমেশ তাতে ২০ ওভারের শেষ পর্যন্তই খেললো শ্রীলঙ্কা। কিন্তু, তাতে আট উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের দল। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলমান এশিয়া কাপ ক্রিকেটে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে গেলো বাংলাদেশ।


পেসার আল আমিন তিনটি ও সাকিব দুটি করে উইকেট নেন। অনন্য ব্যাটিংয়ের সুবাদে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাব্বির।

লাসিথ মালিঙ্গার ইনজুরিতে এদিন লঙ্কাবাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। টসে জিতেছিল বাংলাদেশই। আর তাতে, ব্যাটিং উইকেট ‍বুঝে দলকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি। তবে তাতে শুরুতেই আসে বিপদ। প্রথম দুই ওভারের মধ্যেই বিদায় নেন দুই ওপেনার।

সেখান থেকে চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে ‘উদ্ভট’ রান আউটের শিকার হন মুশফিকুর রহিম। দলীয় রান তখন মাত্র ২৬। ইনিংসের মেরামত করার লড়াইটা শুরু হয় সেখান থেকে।

সাকিবকে সাথে নিয়ে সাব্বির রহমান রুম্মান চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১১ ওভার এক বলে যোগ করেন ৮২ রান। এর মাঝে টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি পেয়ে যান সাব্বির। তার ৫৪ বলে ৮০ রানের ইনিংস টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান।

সাকিব ৩৪ বলে করেন ৩২ রান। এরপর শেষের দিকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ১২ বলে ২৩ রানের কল্যানে লড়াই করার পূঁজি পায় বাংলাদেশ। সাত উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ১৪৭ রান।
আর দিন শেষে সেটাই আকাশচুম্বি এক লক্ষ হয়ে আসে শ্রীলঙ্কার সামনে!

সমগ্র বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক

এক্সক্লুসিভ