ইমরুল কায়েস আর অলক কাপালীর দারুণ ব্যাটিংয়ে বিপিএলের শিরোপা জিতেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টানটান উত্তেজনার তৃতীয় আসরের ফাইনালে বরিশাল বুলসকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
চলতি আসরে বরিশালের জন্য অজেয়ই থাকল কুমিল্লা। তাদের কাছে এ নিয়ে তিনবার হারল মাহমুদউল্লাহর দল।
মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৫৬ রান করে বরিশাল। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে শেষ বলে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।
মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৫৬ রান করে বরিশাল।
রনি তালুকদারের জায়গায় সিকুগে প্রসন্নর সঙ্গে বরিশালের ইনিংস উদ্বোধন করেন মেহেদি মারুফ। আশার জাইদিকে স্লগ সুইপ করে ছক্কা হাকালেও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। পরের বলেই পুল করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
মারুফ ফিরে গেলেও দলকে এগিয়ে নেন প্রসন্ন। ১৯ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে গড়া তার ৩৩ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস শেষ হয় ড্যারেন স্টিভেন্সের বলে বোল্ড হয়ে।
বরিশালের আগের দুই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় সাব্বির রহমান এবার দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ১৯ বলে ৯ রান করে মাশরাফির বলে বোল্ড হয়ে যান এই তরুণ।
৬৮ রানের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারানো বরিশাল দেড়শ’ ছাড়ায় মাহমুদউল্লাহ ও শাহরিয়ারের দৃঢ়তায়। শুরুতে দেখেশুনে খেলা এই দুই ব্যাটসম্যান শেষের দিকে মাশরাফি-নুয়াক কুলাসেকারা-হায়দারদের কাউকেই ছাড়েননি।
শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে ভাঙে তার সঙ্গে শাহরিয়ারের ৯.২ ওভার স্থায়ী ৮১ রানের জুটি। কুলাসেকারার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। ৩৬ বলে খেলা তার এই অধিনায়কোচিত ইনিংসটি ৬টি চার ও একটি চারে গড়া।
শাহরিয়ার অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে। তার ৩১ বলের ঝড়ো ইনিংসটি ৩টি ছক্কা ও দুটি চার সমৃদ্ধ।