সদ্যসমাপ্ত বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ওয়ানডে এবং টেস্ট সিরিজে অক্রিকেটীয় আচরণের জন্য একরকম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতেই পরিণত হয়েছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটার বেন স্টোকস। সর্বশেষ মিরপুর টেস্টেও তার আবির্ভাব ঘটেছিল স্বরূপেই। পায়ে পড়েই লাগতে গিয়েছিলেন সাব্বির রহমানের সাথে। আর তাই যেন কাল হয়ে দাঁড়াল এই ইংলিশ অলরাউন্ডারের জন্য। শাস্তিস্বরূপ গুণতে হবে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ।
আইসিসি কর্তৃক খেলোয়াড়দের আচরণ বিধির ২.১.১ ধারা লঙ্ঘন করেছেন স্টোকস যেটা ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’-এর বিরুদ্ধে। এর কারণে স্টোকসের নামের পাশে যোগ হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। আচরণ বিধির ৭.৬ ধারা অনুযায়ী স্টোকস যদি আগামী দুই বছরের মধ্যে আর চার বা তার বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট পান তাহলে সেটা রূপ নেবে দুটি সাসপেনশন পয়েন্টে এবং তিনি নিষিদ্ধ হবেন। দুটি সাসপেনশন পয়েন্টের ফলে স্টোকসকে একটি টেস্ট বা দুটি ওয়ানডে বা দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হতে হবে এবং তখন তারা যে ফরম্যাটের ক্রিকেট খেলবে সে হিসেবে শাস্তি দেয়া হবে।
তার এই শাস্তি প্রসঙ্গে আক্ষেপ করে ইংলিশ অধিনায়ক কুক বলেছেন, ‘আমি এটাতে আম্পায়ারদের হতাশ হওয়ার একটু কিছু খুঁজে পাইনি। সাব্বির ও স্টোকস উভয়ই খুব প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটার। আমার কাছে মনে হয় মানুষ এটা পছন্দ করে। এটাই মানুষ দেখতে চায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাঝে মাঝে আমি বিশ্বাস করি আম্পায়াররা খুব তাড়াতাড়ি ঘটনার সাথে জড়িয়ে যান। তখনই বিষয়টা আরো বেশি দুর্দশার সৃষ্টি করে। তারা জড়িয়ে গেলে অবস্থার আরও অবনতি হয়ে একটা নাটকীয় মোড় নেয়।’
উল্লেখ্য, রোববার সকালে স্টোকস বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমানের গায়ে পড়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে যান। তখন মাঠে কর্তব্যরত আম্পায়াররা স্টোকসকে সতর্ক করলেও তিনি তা মানেন নি। এরপর আম্পায়াররা ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুককেও নির্দেশ দিয়েছিল স্টোকসকে থামাতে। কিন্তু তারপরেও থামেননি স্টোকস।