তারপর ওয়ানডে অভিষেকে এসে আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তার নাম। ভারতের সঙ্গে ওয়ান ডে সিরিজে মিরপুরে, হোম অব ক্রিকেটে ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তরুণ এই বাঁহাতি পেসার তা আলোকিত হয়ে আছে ক্রিকেট ইতিহাসে।
তখনই ক্রিকেট দুনিয়ায় সাড়ম্বরে নিজের আগমন বার্তা জানিয়ে দিয়েছিলেন মুস্তাফিজ।
এরপর টি-২০ বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চেও নিজের খেলা প্রতিটি ম্যাচে নিজের জাত চিনিয়েছেন নতুন করে। দুর্দান্ত বোলিং-এ গোটা ক্রিকেট বিশ্বই আরেকবার মেতেছে মুস্তাফিজ বন্দনায়। ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপের শুরু থেকে মাঠে নামতে পারেননি তিনি। তারপরও অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচে দুটি করে উইকেটও পেয়েছিলেন।
কিন্তু, তাতেও যেনো ঠিকমত চেনা যাচ্ছিলো না বাঁহাতি পেস বোলিং জাদুকরকে। তবে হ্যাঁ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মুস্তাফিজ ভক্তদের আক্ষেপ ঘুঁচে যায়। অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে নিজের পেশাদারিত্ব সম্পর্কে জানান দিয়েছিলেন সবার কাছে। সেদিন টাইগাররা ৭৫ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল বটে, তবে মুস্তাফিজ ঠিকই প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন ক্রিকেট বিশ্বে।
এসব তার পেছনের কথা।
এবার আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তাকে এক কোটি ৪০ লাখ রুপিতে দলে নেয়। যার মধ্য দিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক হয় মুস্তাফিজের।
বলতেই হয় যে, মি. ফিজ কিন্তু ইতিমধ্যে ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটেও ডাক পেয়েছেন। কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব সাসেক্স বাংলাদেশের বিস্ময় বালককে দলে নিয়েছে বেশ সম্মানের সাথেই। তাকে দলে পেয়ে ওই দলের প্রধান বলেছিলেন, ‘বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে উজ্জ্বল প্রতিভা। সে আমাদের দলে দারুণ এক সংযোজন।’
আগামী ন্যাটওয়েস্ট টি-২০ ব্লাস্ট লিগেই তাকে দেখা যাবে। এছাড়াও পাকিস্তান ক্রিকেট লিগ (পিসিএল)-এও তিনি জায়গা করেছেন নিজের যোগ্যতা দিয়ে।
এরপর টি-২০ বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চেও নিজের খেলা প্রতিটি ম্যাচে নিজের জাত চিনিয়েছেন নতুন করে। দুর্দান্ত বোলিং-এ গোটা ক্রিকেট বিশ্বই আরেকবার মেতেছে মুস্তাফিজ বন্দনায়। ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপের শুরু থেকে মাঠে নামতে পারেননি তিনি। তারপরও অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচে দুটি করে উইকেটও পেয়েছিলেন।
কিন্তু, তাতেও যেনো ঠিকমত চেনা যাচ্ছিলো না বাঁহাতি পেস বোলিং জাদুকরকে। তবে হ্যাঁ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মুস্তাফিজ ভক্তদের আক্ষেপ ঘুঁচে যায়। অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে নিজের পেশাদারিত্ব সম্পর্কে জানান দিয়েছিলেন সবার কাছে। সেদিন টাইগাররা ৭৫ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল বটে, তবে মুস্তাফিজ ঠিকই প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন ক্রিকেট বিশ্বে।
এসব তার পেছনের কথা।
এবার আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তাকে এক কোটি ৪০ লাখ রুপিতে দলে নেয়। যার মধ্য দিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক হয় মুস্তাফিজের।
বলতেই হয় যে, মি. ফিজ কিন্তু ইতিমধ্যে ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটেও ডাক পেয়েছেন। কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব সাসেক্স বাংলাদেশের বিস্ময় বালককে দলে নিয়েছে বেশ সম্মানের সাথেই। তাকে দলে পেয়ে ওই দলের প্রধান বলেছিলেন, ‘বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে উজ্জ্বল প্রতিভা। সে আমাদের দলে দারুণ এক সংযোজন।’
আগামী ন্যাটওয়েস্ট টি-২০ ব্লাস্ট লিগেই তাকে দেখা যাবে। এছাড়াও পাকিস্তান ক্রিকেট লিগ (পিসিএল)-এও তিনি জায়গা করেছেন নিজের যোগ্যতা দিয়ে।
গত ১২ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দারাবাদের পক্ষে নিজের প্রথম ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে মায়াবি কাটারের ভেলকি দিয়ে শুরু হয় তার আইপিএল মিশন।
এ যাত্রায় মুস্তাফিজ আরো ক্ষুধার্ত ও আক্রমণের পাশাপাশি বড্ড কৃপণও হয়ে উঠলেন। তার বোলিং এর বিপক্ষে যে ব্যাটসম্যানই দাঁড়ান না কেনো, মুস্তাফিজ ‘বল টু বল’-এ সমীহ আদায় করে নিচ্ছেন। বিপক্ষ দলগুলো যেমন চাপে পড়েছে, তেমনি রক্ষণাত্মক হয়ে ওঠায় আবার ভুগছে তীব্র রান খরায়।
এতে অবশ্যই সানরাইজার্স অধিনায়ক বেশ সুবিধা পেয়েছেন। বিপক্ষ দলের জন্য মুস্তাফিজ যখন চার ওভারে খুব কম রান দিচ্ছেন তখন অন্য বোলাররা ১৬ ওভারে যা দিচ্ছেন তাতে শেষ পর্যন্ত টার্গেট বড় হচ্ছে না। ডেভিড ওয়ার্নাররা খুব সহজেই তা উতরাতে সক্ষম হচ্ছেন।
মোটকথা মুস্তাফিজ এখন দলের জন্য বোলিং এবং পুরো দলের ব্যাটিং কনফিডেন্স বাড়ানোর প্রধান ভরসা।
জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান ভিটোরির পর ওয়ানডে ইতিহাসের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচেই ইনিংসে ৫ উইকেটসহ মাত্র ৩ ম্যাচেই ১৩ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন মুস্তাফিজ। এছাড়াও ওয়ানডে সিরিজে অভিষেকে সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার যৌথ বিশ্ব রেকর্ড তার। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার একক বিশ্ব রেকর্ডও মুস্তাফিজের। আন্তর্জাতিক টি-২০তে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ডও মুস্তাফিজের ঝুলিতে।
মাশরাফি রুবেলের পর তৃতীয় বাংলাদেশী হিসেবে ইনিংসে ৬ উইকেট তার খাতায়। প্রথম বাংলাদেশী পেসার হিসেবে টি-২০তে ৫ উইকেট, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইডেন গার্ডেনে ৫ উইকেট শিকার। সবচেয়ে কম বয়সী বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০তে ৫ উইকেটও (প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড) নিয়েছেন তিনি। বিশ্বের একমাত্র বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০তে এক ইনিংসে ৪ ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করেছেন। বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক টেস্ট ও ওয়ানডেতে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে আইসিসির বর্ষসেরা একাদশে ঠাঁই পেয়েছেন তিনি (২০১৫)।
এ যাত্রায় মুস্তাফিজ আরো ক্ষুধার্ত ও আক্রমণের পাশাপাশি বড্ড কৃপণও হয়ে উঠলেন। তার বোলিং এর বিপক্ষে যে ব্যাটসম্যানই দাঁড়ান না কেনো, মুস্তাফিজ ‘বল টু বল’-এ সমীহ আদায় করে নিচ্ছেন। বিপক্ষ দলগুলো যেমন চাপে পড়েছে, তেমনি রক্ষণাত্মক হয়ে ওঠায় আবার ভুগছে তীব্র রান খরায়।
এতে অবশ্যই সানরাইজার্স অধিনায়ক বেশ সুবিধা পেয়েছেন। বিপক্ষ দলের জন্য মুস্তাফিজ যখন চার ওভারে খুব কম রান দিচ্ছেন তখন অন্য বোলাররা ১৬ ওভারে যা দিচ্ছেন তাতে শেষ পর্যন্ত টার্গেট বড় হচ্ছে না। ডেভিড ওয়ার্নাররা খুব সহজেই তা উতরাতে সক্ষম হচ্ছেন।
মোটকথা মুস্তাফিজ এখন দলের জন্য বোলিং এবং পুরো দলের ব্যাটিং কনফিডেন্স বাড়ানোর প্রধান ভরসা।
মাত্র এক বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে নিজেকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য যা যা করা দরকার সম্ভবতঃ তার কিছুই বাদ রাখছেন না ২০ বছর বয়সী মুস্তাফিজুর রহমান। সারা বিশ্বের ব্যাটসম্যানদের নাস্তানাবুদ করে করে নিজেকে তাদের বিপক্ষে ‘সায়ানাইড’ খ্যাত করে তুলছেন। এই ৩৬৫ দিনের পরিক্রমায় তিনি যে রেকর্ড বই ওলট-পালট করে দিচ্ছেন তাকে তো ‘ম্যাজিকই’ বলতে হবে।
জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান ভিটোরির পর ওয়ানডে ইতিহাসের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচেই ইনিংসে ৫ উইকেটসহ মাত্র ৩ ম্যাচেই ১৩ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন মুস্তাফিজ। এছাড়াও ওয়ানডে সিরিজে অভিষেকে সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার যৌথ বিশ্ব রেকর্ড তার। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার একক বিশ্ব রেকর্ডও মুস্তাফিজের। আন্তর্জাতিক টি-২০তে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ডও মুস্তাফিজের ঝুলিতে।
মাশরাফি রুবেলের পর তৃতীয় বাংলাদেশী হিসেবে ইনিংসে ৬ উইকেট তার খাতায়। প্রথম বাংলাদেশী পেসার হিসেবে টি-২০তে ৫ উইকেট, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইডেন গার্ডেনে ৫ উইকেট শিকার। সবচেয়ে কম বয়সী বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০তে ৫ উইকেটও (প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড) নিয়েছেন তিনি। বিশ্বের একমাত্র বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০তে এক ইনিংসে ৪ ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করেছেন। বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক টেস্ট ও ওয়ানডেতে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে আইসিসির বর্ষসেরা একাদশে ঠাঁই পেয়েছেন তিনি (২০১৫)।
আর কতো? গতকালও আইপিএলে যা করে দেখালেন তা রীতিমতো অবাক, বিস্ময়কর। টি-২০তে ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট। এর সঙ্গে একটি রান আউটে অবদান আর ফিল্ডিং এ ক্যাচ ধরে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ। তার উজ্জলতা আরো কত পরিসরে ছড়িয়ে পড়বে তা সামনের দিনগুলিই বলে দেবে।