মারাকানার স্বপ্নের ফাইনালে ব্রাজিল

গ্রুপ পর্ব, কোয়ার্টার ফাইনালের পর সেমিফাইনালের বাঁধাও পেরুলো ব্রাজিল। স্বপ্ন-জয়ের দূরত্বটা এখন ৯০ মিনিটের। হন্ডুরাসকে হারিয়ে যে আবারও অলিম্পিকের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাজিল। বুধবার সেমিফাইনালে সেলেসাওরা ৬-০ ব্যবধানে হন্ডুরাসকে হারিয়ে স্বপ্ন-জয়ের পথে ছুটে চলছে।

বিশ্বকাপ-কনফেডারেশনস কাপ কিংবা কোপা আমেরিকা সর্বত্রই রাজত্ব করেছে ব্রাজিল। কিন্তু, অলিম্পিকের স্বর্ণপদকটাই শুধু জেতা হয়নি তাদের। এবার অারাধ্য সেই শিরোপাটা জিততেই হবে! তাই কোপা আমেরিকার দলে না রেখে দেশের সেরা তারকা নেইমারকে রেখেছেন অলিম্পিকে। টুর্নামেন্টের শুরুতে নেইমার ছিলেন নিজেরই ছায়া। দিশেহারা ছিল ব্রাজিলও।

কিন্তু গ্রুপের শেষ ম্যাচে ঠিকই জ্বলে উঠেন ব্রাজিলের আশার প্রদীপ। তারপর কোয়ার্টার ফাইনালেও নিজেদের খেলাটা খেলে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়। শেষ চারের লড়াইয়ে কাগজে-কলমে ব্রাজিল ফেভারিট হলেও শেষ চারের ম্যাচটা নিয়ে যথেষ্ট ভয় ছিল সেলেসাওদের সমর্থকদের মনে। কেননা এই দলটাই যে এবার বিদায় ঘণ্টা বাজিয়েছে আর্জেন্টিনার! কিন্তু, হন্ডুরাসকে আর সেই সুযোগ দিল কই রোজারিও মিকেলের শিষ্যরা।

ম্যাচ শুরুর ১৪ সেকেন্ডের মধ্যেই দুর্দান্ত এক গোল করে নিজেদের শক্তিমত্তার পাশাপাশি নেইমার যেন জানিয়ে দিলেন স্বর্ণ জয়ের ক্ষুধাটাও! হন্ডুরাসের বিপক্ষে অলিম্পিক ইতিহাসের দ্রুততম গোল করে শুরু করেন বার্সেলোনার এই ব্রাজিলিয়ান।

এরপর গ্যাব্রিয়েল জেসাস শো! মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানেই জোড়া গোল করে বিশ্বকেই যেন জানিয়ে দিলেন তাকে পেতে ম্যানসিটি কেন রীতিমতো লড়াইয়ে নেমেছিল। ১৯ বছর বয়সী জেসাস আর নেইমারের অসাধারণ পারফরম্যান্সের সৌজন্যে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ব্রাজিল।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটে আবারও হন্ডুরাসের জালে গোল করে ব্রাজিল। গোলের নায়ক এবার পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মারকিনহোস। ৭৯ মিনিটে ব্রাজিলের জার্সিতে পঞ্চম গোলটি করেন লুয়ান।

আর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টিতে গোল করে হন্ডুরাসের জালে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন শুরুর নায়ক সেই নেইমারই। আর তাতেই ৬-০ গোলের বড় জয় নিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে জায়গা করে নেয় ব্রাজিল।

চার বছর আগেও লন্ডন অলিম্পিকে ব্রাজিল পেয়েছিল ফাইনালের টিকেট। কিন্ত, সেবার নেইমারদের কান্নায় ডোবায় মেক্সিকো। এবার কি নেইমার-জেসাসরা পারবেন সেই কান্না মুছে দিতে? উত্তর জানা যাবে আগামী শনিবার; রিও ডি জেনিরোর বিশ্বখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে।

সমগ্র বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক

এক্সক্লুসিভ